কী অসাধারণ ধারাবাহিকতা বাংলাদেশের তামিম ইকবালের ব্যাটে! ২০১৫ সাল থেকে ধারাবাহিকভাবে বাংলাদেশের মারকুটে ওপেনার ছুটছেন বিরাট কোহলি, এবি ডি ভিলিয়ার্সদের সঙ্গেই। গত তিন বছরে তামিমের ব্যাটিং গড় জানেন? ৫৫.৭৭। গর্ব করার মতোই। ৪১ ম্যাচ খেলে ৪০ ইনিংসে রান ১৯৫২। এই সময়ের হিসাবে শীর্ষ ব্যাটসম্যান ভারতীয় তারকা বিরাট কোহলির ৫৬ ম্যাচে ৫৬ ইনিংসে মোট রান ২৮২২, গড় ৬৪.১৩। ডি ভিলিয়ার্সের ৬৪.০২ গড়ে ২৩০৫, ৫০ ম্যাচে—এই দুজনের চেয়ে কম ম্যাচ খেলে তামিম কিন্তু খুব বেশি পিছিয়ে নেই।
২০১৫ থেকে এ পর্যন্ত ১৫ কিংবা এর চেয়ে বেশি ম্যাচ খেলা ক্রিকেটারদের মধ্যে ব্যাটিং গড় হিসাবে তামিমের অবস্থান ৭ নম্বরে। বাংলাদেশি তারকার ওপরে অবস্থান ফ্যাফ ডু প্লেসি, ডেভিড ওয়ার্নার, জো রুট, রোহিত শর্মা, ডি ভিলিয়ার্স ও কোহলির।
গত তিন বছরে এই ৪১ ম্যাচে তামিমের সেঞ্চুরি ৫টি, ফিফটি ১৩টি। কোহলি তাঁর ৫৬ ম্যাচে ১২টি ফিফটি পেলেও তাঁর অর্ধশতগুলো সেঞ্চুরিতে রূপান্তর করার হার অনেক বেশি—তিন অঙ্কে পৌঁছেছেন ১১ বার। অন্যদিকে ১১টি ফিফটির বিপরীতে ডি ভিলিয়ার্সের সেঞ্চুরি ৭টি। ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকার দুই তারকার সমান ম্যাচ খেলতে পারলে তাঁর গড়ও বাড়তে পারত, মোট রানও বাড়তে পারত। কিন্তু একটা জায়গায় তামিম অন্যদের তুলনায়, বিশেষ করে ওপেনারদের তুলনায় অনেকটাই পিছিয়ে থাকবেন—ফিফটিগুলোকে তাঁর সেঞ্চুরিতে রূপান্তর করার সুযোগ অন্যদের চেয়ে বেশি। নির্দিষ্ট করে বললে এই সুযোগ তাঁর কোহলি ও ডি ভিলিয়ার্সের চেয়েও বেশি।
প্রথম ম্যাচের মতোই আজও তিনি ফিরলেন ৮৪ রানেই। দারুণ খেলছিলেন। সেঞ্চুরির সুযোগটা ছিল শতভাগই। কিন্তু, ১০২ বলে ৭টি চার আর ২টি ছক্কায় সেঞ্চুরি থেকে ১৬ রান দূরে থেকেই আকিলা ধনঞ্জয়ার বলে ফিরেছেন তিনি।
তিন বছরে ধরে বাংলাদেশের সেরা ব্যাটসম্যানের আরও একটি ইনিংস শেষ হলো সেঞ্চুরি না পাওয়ার আক্ষেপ নিয়ে।
পাঠকের মন্তব্য