রাজধানীর পশ্চিম নাখালপাড়ায় র্যাবের জঙ্গি বিরোধী অভিযানের ঘটনায় সন্ত্রাস বিরোধী আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। শনিবার রাজধানীর তেজগাঁও থানায় এ মামলা দায়ের করা হয়।
নাখালপাড়ায় জঙ্গি আস্তানায় গতকাল শুক্রবার অভিযান চালায় র্যাব। এতে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জেএমবির তিন সদস্য নিহত হয়। ওই ঘটনায় সন্ত্রাস দমন আইনে মামলা হলো।
র্যাব-৩-এর অধিনায়ক লে. কর্নেল ইমরানুল হাসান শনিবার বিকেলে বলেছিলেন, সন্ত্রাস দমন আইনে র্যাবের পক্ষ থেকে মামলা করা হবে।
গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত দুইটা থেকে ছয়তলা ওই বাড়ির পঞ্চম তলায় ‘জঙ্গি আস্তানা’ সন্দেহে অভিযান চালায় র্যাব। এরপর একটানা প্রায় ৪০ মিনিট গোলাগুলি হয় বলে আশপাশের লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়।
পরদিন শুক্রবার সকালে র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার মুফতি মাহমুদ খান জঙ্গি আস্তানায় তিনজন নিহত হওয়ার তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেন।
পশ্চিম নাখালপাড়ায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে ১০০ গজের মতো দূরে ‘রুবি ভিলার’ অবস্থান। সাংসদদের সরকারি বাসভবন বা ন্যাম ভবনের কাছেই এটি। ছয়তলা বাসার পঞ্চম তলায় মেস বাসা ছিল।
শুক্রবার সকালে জঙ্গি আস্তানাটি পরিদর্শন শেষে র্যাবের মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, নিহত তিন যুবকের একজনের নাম জাহিদ অথবা সজীব হতে পারে। ওই যুবকের দুটি জাতীয় পরিচয়পত্র পাওয়া গেছে। একটিতে তাঁর নাম জাহিদ ও আরেকটিতে সজীব বলে উল্লেখ রয়েছে। তিন যুবকেরই বয়স ২৫ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে। চলতি মাসের ৪ তারিখে তাঁরা বাড়িটি ভাড়া নেন। নিহত তিনজনই জঙ্গি। অভিযান চলাকালে তাঁরা গ্যাসের চুলায় গ্রেনেড রেখে বড় ধরনের বিস্ফোরণ ঘটানোর চেষ্টা করেছেন। ওই জঙ্গি আস্তানার ভেতরে পাওয়ার জেল, সুইসাইডাল ভেস্ট ও বিভিন্ন বিস্ফোরক দ্রব্য পাওয়া গেছে।
শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান অধ্যাপক এ এম সেলিম রেজা শনিবার বিকেলে বলেন, পশ্চিম নাখালপাড়ায় জঙ্গি আস্তানায় নিহত তিনজনের মৃত্যু হয়েছে গুলিতে। তাঁদের শরীরে বুলেটের একাধিক আঘাতের চিহ্নও ছিল উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে সুরতহাল প্রতিবেদনে যে আঘাতের কথা উল্লেখ করা হয়েছে, আমরা সেই আঘাতগুলো পেয়েছি। একজনের শরীরে একটি বুলেট পাওয়া গেছে। তাদের প্রত্যেকের শরীরে অনেকগুলো আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। শরীরের সামনে ও পেছনের দিকে এসব আঘাত রয়েছে।’
পাঠকের মন্তব্য