ভারত-পাকিস্তান আন্তর্জাতিক সীমান্ত ও নিয়ন্ত্রণরেখার কাছে ১৪ হাজারের বেশি বাংকার তৈরি করছে ভারত। ব্যক্তিগত ও গোষ্ঠীগত এই বাংকার তৈরির কাজ ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গেছে বলে জানিয়েছে জম্মু বিভাগ কর্তৃপক্ষ।
আজ রোববার এনডিটিভি অনলাইনের প্রতিবেদনে বলা হয়, জম্মু এলাকার পুঞ্চ ও রাজৌরি জেলার নিয়ন্ত্রণরেখার কাছে ইতিমধ্যে ৭ হাজার ২৯৮টি বাংকার তৈরি করা হয়েছে। এ ছাড়া জম্মু, কাথুয়া ও সাম্বা জেলার ভারত-পাকিস্তান আন্তর্জাতিক সীমান্ত এলাকায় আরও ৭ হাজার ১৬২টি বাংকার তৈরি করা হবে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, পাকিস্তানের হামলা থেকে নাগরিকদের রক্ষা করতে সম্প্রতি নিয়ন্ত্রণরেখা ও আন্তর্জাতিক সীমান্তে ১৪ হাজার ৪৬০টি ব্যক্তি ও গোষ্ঠীগত বাংকার তৈরি করার সিদ্ধান্ত নেয় ভারত সরকার। এর জন্য মোট ব্যয় হবে ৪১৬ কোটি রুপি।
জম্মু বিভাগ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বাংকারগুলোর মধ্যে ১৩ হাজার ১৯টি ব্যক্তিগত ও ১ হাজার ৪৩১টি গোষ্ঠীগত বাংকার হবে। ১৬০ বর্গফুটের ব্যক্তিগত বাংকারে একসঙ্গে আটজন মানুষ থাকতে পারবেন। আর ৮০০ বর্গফুটের গোষ্ঠীগত বাংকারে ৪০ জনের থাকার জায়গা রয়েছে।
কর্তৃপক্ষ বলছে, রাজৌরিতে ৪ হাজার ৯১৮টি ব্যক্তিগত বাংকার ও ৩৭২টি গোষ্ঠীগত বাংকার তৈরি করা হচ্ছে৷ আর কাথুয়া জেলায় ৩ হাজার ৭৬টি ব্যক্তিগত এবং ২৪৩টি গোষ্ঠীগত বাংকার তৈরি করা হচ্ছে। পুঞ্চ জেলায় ব্যক্তিগত বাংকারের সংখ্যা ১ হাজার ৩২০টি ও গোষ্ঠীগত বাংকার হবে ৬৮৮টি৷ জম্মুতে ১ হাজার ২০০টি ব্যক্তিগত ও ১২০টি গোষ্ঠীগত বাংকার এবং সাম্বা জেলায় ২ হাজার ৫১৫টি ব্যক্তিগত ও ৮টি গোষ্ঠীগত বাংকার তৈরি করা হচ্ছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে ৩ হাজার ৩২৩ কিলোমিটার সীমান্ত রয়েছে। এর মধ্যে ২২১ কিলোমিটার আন্তর্জাতিক সীমারেখা এবং জম্মু ও কাশ্মীর এলাকায় ৭৪০ কিলোমিটার নিয়ন্ত্রণরেখা রয়েছে। গত বছর এই সীমান্তে পাকিস্তানের হামলায় ১৯ জন সেনা কর্মকর্তা, ১২ জন সাধারণ নাগরিক ও চারজন বিএসএফ জওয়ান নিহত হয়েছে।
ভারত সরকারের এ সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে বিজেপি নেতা ও বিধায়ক যুগল কিশোর শর্মা বলেন, এটা সীমান্ত এলাকার মানুষের জন্য আনন্দের সংবাদ। এর ফলে সীমান্তে হামলা হলে স্থানীয় লোকজন তাঁদের সম্পদ ও গৃহপালিত পশু নিয়ে নিরাপদে বাংকারে অবস্থান করতে পারবেন। সীমান্ত এলাকার মানুষদের দীর্ঘদিনের দাবি পূরণ করায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন তিনি।
পাঠকের মন্তব্য