কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী বাসে সন্ত্রাসী হামলায় বাস চালক ও সহকারীসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন।রোববার (১৭ ডিসেম্বর) সকাল ১০ টায় ক্যাম্পাস থেকে শহরে বেশ কয়েকটি বাস ও বাস চালকের উপর সন্ত্রাসীরা হামলা এবং লুটপাট চালায়। গুরুতর আহত অবস্থায়, সুমন চন্দ্র দাস নামে এক বাস চালককে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, সকাল ৯ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসটি দৌলতপুর চৌরাস্তা নামক স্থানে পৌঁছালে, একটি মোটর সাইকেল বাসটি অতিক্রম করতে চায়।অতিক্রম করতে না পেরে মোটরসাইকেল আরোহী শান্ত (৩০) ও জালাল (২৫) বাসচালককে গালিগালাজ করতে থাকে তেড়ে আসে। চালক সুমন চন্দ্র দাস প্রতিবাদ করলে তারা তাকে বাস থেকে নামিয়ে নাকে ও মুখে হেলমেট দিয়ে আঘাত করে ও বেধরক পেটাতে থাকে।এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য বাস ড্রাইভার ও কিছুসংখ্যক ছাত্র এগিয়ে আসলে সন্ত্রাসীরা তাদেরকেও পেটায় এবং স্থানীয় দোকানদার এবং তাদের কয়েকজন বন্ধুদের সহযোগিতায় মোবাইল ও মানিব্যাগ ছিনিয়ে নেয়।
খবর পেয়ে, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা ঘটনাস্থলে যায় এবং ছাত্রদের সহায়তায় আক্রমণকারীদের একজনকে আটক এবং মোটরসাইকেলটি জব্দ করে।আরিফুল ইসলাম (২5) নামের ব্যক্তিকে প্রক্টর অফিসে পুলিশের এক অনানুষ্ঠানিক জিজ্ঞাসাবাদে অন্যান্য সন্ত্রাসীদের পরিচয় পাওয়া যায়। তারা হল মদিনানগর এলাকার রাকিব (২৫), রনি (২৫)। কোটবাড়ি থানা পুলিশ আরিফুলকে আটক করে এবং মোটরসাইকেল ফাঁড়িতে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় শিক্ষক বাসচালক রিপন, বিআরটিসি বাস চালক বাবুল প্রামাণিক, কাশেম, রফিক ও আরও সাতজন আহত হন।
প্রক্টর কাজী মোঃ কামাল উদ্দিন সাংবাদিকদের জানান, ‘আমরা ঘটনার অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের এর জন্য প্রশাসনকে বলেছি এবং আহতদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছি।
মামলার বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মোঃ মুজিবুর রহমান মজুমদার বলেন, ‘আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের পক্ষ থেকে আক্রমণকারীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করার প্রস্তুতি নিচ্ছি।
কোটবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাহিদ আহমেদ বলেন, “ঘটনাটি কোতোয়ালী থানার হেফাজতে রয়েছে, ইতোমধ্যে একজন আটক হয়েছে। যদিও আমরা এখনো কোনও লিখিত অভিযোগ পাইনি,পেলে অপরাধীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করবো”
পাঠকের মন্তব্য