পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি আজও পূর্ণাঙ্গভাবে বাস্তবায়ন হয়নি। চুক্তি বাস্তবায়ন না করে উল্টো জেএসএস নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করা হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির সহ-সভাপতি ও ২৯৯ নং সংসদ সদস্য ঊষাতন তালুকদার এমপি। ২রা ডিসেম্বর (শনিবার) পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি’র দুই দশক বর্ষপূর্তির ডাক উপলক্ষে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির আয়োজিত গণসমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, ২০ টি বছর অতিবাহিত হয়ে গেল। কিন্তু পার্বত্য শান্তি চুক্তি আজও পূর্ণাঙ্গভাবে বাস্তবায়ন হয়নি । শান্তি চুক্তির ধারার মিশ্র পুলিশ নিয়োগ হওয়ার কথা কিন্তু তা এখনো বাস্তবায়িত হয়নি।তিনি আরো বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের চুক্তির মৌলিক ধারা গুলো এখনো অবাস্তবায়িত,ফলে আজ জুম্ম জনগণ নির্যাতিত,নিপীড়িত ও শোষিত। গত কালকের মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর ভিডিও কনফারেন্সের বিষয়টি সম্পর্কে তিনি বলেন , আজ বাংলাদেশ কোথায়..? পাহাড়ে পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তুলছে,বিভিন্ন উন্নয়ন আর অর্থনৈতিকভাবে উন্নয়ন দেখিয়ে জনগণকে বোঝাতে চাচ্ছে পার্বত্য অঞ্চলে শান্তি চুক্তি সমাধান হবেনা।এটা রাজনৈতিক সমস্যা তাই সরকারকে রাজনৈতিকভাবে সমাধানে আসতে হবে।পার্বত্য চট্টগ্রামের শান্তি চুক্তির ৭২ টি ধারার মধ্যে মাত্র ৪৮ টি ধারা বাস্তবায়ন হয়েছে বলে ঘোষনা করেছে বাংলাদেশ সরকার। কিন্তু আদৌ কি সেসব ধারা গুলো বাস্তবায়িত হয়েছে .? এছাড়া তিনি আরো বলেন, আজ পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চল অত্যন্ত নাজুক অবস্থায় রয়েছে।এছাড়া জুম্মজনগণের দাবী আদায়ের জন্য সংগ্রাম করে ঐক্যবদ্ধ হয়ে নিপীড়িত জনগণকে সংগ্রাম করার আহবান জানান।
পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়নে বৃহত্তর আন্দোলন সংগঠিত করুণ, পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বিরোধী ও জুম্ম স্বার্থ
পরিপন্থী সকল কার্যক্রম করুণ এই স্লোগানকে সামনে রেখে রাঙামাটিতে ২রা ডিসেম্বর পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি’র দশক বর্ষপূর্তি পালিত হয়েছে। দশক বর্ষপূর্তি উপলক্ষে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি রাঙ্গামাটি জেলা কমিটির উদ্যেগে বিশাল বিক্ষোভ মিছিল রাঙ্গামাটি কে কে রায় সড়ক জিমনেসিয়াম মাঠ প্রাঙ্গণ থেকে বনরুপা পেট্রোল পাম্প ঘুড়ে আবারো কে কে রায় সড়ক জিমনেসিয়াম মাঠ প্রাঙ্গণে সমাপ্ত হয়। সকাল ৯ ঘটিকার সময় গণসংগীতের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিক সূচনা কর হয়।গণজমায়েত, গনসমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল আয়োজন করা হয়।
পার্বত্য অঞ্চলে শান্তি চুক্তি বাস্তবায়ন এবং নিজের অধিকার আদায়ের জন্য হাজার হাজার জনতা বুদ্ধিজীবি ও ছাত্র হাতে প্লের্কাড,ব্যানার নিয়ে রাঙ্গামাটির প্রধান মহাসড়ক প্রদক্ষিণ করে বিক্ষোভ মিছিলে যোগদান করে। গণসমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের লৌক প্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক হোসাইন কবির,চট্টগ্রাম কমিউনিষ্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক অশোক সাহা,জনসংহতি সমিতির তথ্য ও প্রচার সম্পাদক মঙ্গল কুমার চাকমা,বাংলাদেশ পার্বত্য চট্টগ্রাম আদিবাসী ফোরামের সভাপতি প্রকৃতি রঞ্জন চাকমা,পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি ও পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদরের অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ সহ বিভিন্ন প্রিন্ট এবং ইলেক্ট্রনিক মিডিযার সংবাদকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
পাঠকের মন্তব্য