মনোনয়ন প্রত্যাশীদের কাদের সবার এসিআর প্রধানমন্ত্রীর কাছে

ওবায়দুল কাদের।
ওবায়দুল কাদের।
ওবায়দুল কাদের বলেন, মঞ্চ দখল করে নেতা হওয়া যায় না। মানুষের ভালোবাসা নিয়ে নেতা হতে হবে।

মাঠপর্যায়ে তিন মাস পরপর তিনটি গোয়েন্দা সংস্থার জরিপ হচ্ছে। দলীয়ভাবেও হচ্ছে জরিপ। সবার এসিআর (মূল্যায়ন প্রতিবেদন) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে জমা হচ্ছে। সাম্প্রদায়িক অপশক্তির সঙ্গে যাঁরা হাত মেলাচ্ছেন, যাঁরা গ্রহণযোগ্য নন, তাঁরা মনোনয়ন পাবেন না।

আজ বুধবার আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের দলীয় নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে এসব কথা বলেন। চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরের হরিমোহন সরকারি উচ্চবিদ্যালয় মাঠে আওয়ামী লীগের সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন কার্যক্রমের উদ্বোধন ও সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন ওবায়দুল কাদের।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপিকে ভোট দিলে আবার হাওয়া ভবনে ঘুরতে হবে। দেশ অমানিশার অন্ধকারে নিমজ্জিত হবে। কথামালার চাতুরী ছাড়া নির্বাচনে প্রচারণার আর কোনো পথ নেই বিএনপির। হাজারো মানুষকে তারা পুড়িয়ে মেরেছে। সেই বিএনপিকে ভোট দিয়ে কি আপনারা আবারও অন্ধকারে ফিরে যাবেন? আমাদেরও ভুল আছে। ভুল স্বীকার করতে লজ্জার কিছু নেই। তবে ১০০ ভালো কাজের মধ্যে দু-একটা ভুল হতেই পারে। চাঁদেরও কলঙ্ক আছে।’

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, যাঁরা স্থানীয়ভাবে চিহ্নিত সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, মাদক ব্যবসায়ী, সাম্প্রদায়িক অপশক্তি; তাঁরা আওয়ামী লীগের সদস্য হতে পারবেন না। দল ভারী করার জন্য খারাপ লোককে দলে ভেড়াবেন না। কমিটি করতে গিয়ে পকেট কমিটি করবেন না। করলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যাঁরা খারাপ কাজ করেন, যাঁরা জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য নন, তাঁরা আওয়ামী লীগের পক্ষে প্রার্থিতা পাবেন না। যাঁরা জনগণের জন্য কাজ করেন, তাঁদের মধ্য থেকে একজনকে বেছে নিয়ে প্রার্থিতা দেওয়া হবে। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, তিন মাস পরপর তিনটি গোয়েন্দা সংস্থার জরিপ হচ্ছে। এ ছাড়া দলীয়ভাবেও জরিপ হচ্ছে। সবার এসিআর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে জমা হচ্ছে। সাম্প্রদায়িক অপশক্তির সঙ্গে যাঁরা হাত মেলাচ্ছেন, যাঁরা গ্রহণযোগ্য নন, তাঁরা মনোনয়ন পাবেন না। জরিপের ফলাফল অনুযায়ী নেত্রী সবাইকে নৌকা প্রতীক দেবেন। কাউকে চিরদিনের জন্য নৌকা প্রতীক ইজারা দেওয়া হয়নি।

বিলবোর্ডে বঙ্গবন্ধু-হাসিনার চেয়ে নেতাদের ছবি বড়
ওবায়দুল কাদের সদস্য সংগ্রহের ক্ষেত্রে তরুণ ও নারী ভোটারদের প্রতি গুরুত্ব দেওয়ার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, এখানে বিএনপি সাংগঠনিকভাবে দুর্বল। তবে এখানে জামায়াত আছে। তাঁদের ভোট বিএনপির সঙ্গে। এটা মনে রেখে কাজ করতে হবে। জনসভার বিশৃঙ্খল অবস্থা দেখে তিনি বলেন, এখানে বড় অভাব শৃঙ্খলার। আসলে শৃঙ্খলার অভাব নেতাদের। নেতাদের যদি শৃঙ্খলা না থাকে, তবে কর্মীদের কীভাবে থাকবে?

জনসভাস্থলে বিল বোর্ডের আধিক্য দেখে সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, এত বিলবোর্ড বাংলাদেশের আর কোথাও দেখিনি। বিলবোর্ডে বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনার ছবির চেয়ে নেতাদের বড় বড় ছবি। মঞ্চ দখল করে নেতারা বসে রয়েছেন। অথচ মাঠে অনেক অনেক সিনিয়ররা মাটিতে বসে রয়েছেন। মঞ্চ দখল করে নেতা হওয়া যায় না। মানুষের ভালোবাসা নিয়ে নেতা হতে হবে।

জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মঈনুদ্দীন মণ্ডলের সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে আরও বক্তব্য দেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাংসদ জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক সাংসদ খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, কেন্দ্রীয় সদস্য এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন, নুরুল ইসলাম ঠান্ডু, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সদর আসনের সাংসদ আবদুল ওদুদ প্রমুখ।

সর্বশেষ আপডেট: ৩০ নভেম্বর ২০১৭, ০৩:৫৩
প্রথম আলো

পাঠকের মন্তব্য

সর্বশেষ আপডেট


বিনোদন