পড়া-লেখার পাশাপাশি সামলাচ্ছেন নিজের সংসার। বিয়ের পর নিজের অবসর সময়ে কিছু করব ভেবেই শখ করে শুরু করেন এই তরুণী।জ্বি, প্রযুক্তির ব্যাবহারে গুনগত মান আর অনলাইন বিজনেস খুলে সফল মিতাশা।
প্রথমে নিজেই পেইজ খুলে টুকটাক হাতের বানানো জিনিস বিক্রি করে যখন সকলের কাছে ভাল সাড়া পাই, তখনই লক্ষ্য স্থির করে নেই এটাকেই তার পেশা হিসেবে। পরে স্বামী ও সকলের অনুপ্রেরণায় ও বিভিন্ন সৃষ্টিশীল কাজের মাধ্যমে সকলের কাছে ভাল পরিচিতি পাই।” হিজাব শপ অনলাইন স্টোর” নামক আড়াই বছর বয়সী এ ব্যবসার পেইজে প্রায় দেড় লাখ ফলোয়ার রয়েছে। ইচ্ছা ভবিষ্যতে বড় কিছু কর।অবদান এর মধ্যে আমার ফ্যামিলি বাবা,মা,ভাইয়া আর বিশেষ করে আমার স্বামী অনেক সহযোগীতা করেছেন- এভাবেই জানালেন মিতাশা। জানালেন চাইলেই কেউ ঘুড়ে আসতে পারে তার ফেসবুক পেইজে -
https://www.facebook.com/hijabshop68/
কেনো এই ব্যাতিক্রমী চিন্তা, মিতাশা জানালেন, ছোট বেলা থেকেই নিজের পায়ে দাড়ানোর ইচ্ছা ছিল অনেক,ইচ্ছা ছিল ডাক্তার হওয়ার, কিন্তু অল্প বয়সে বিয়ে হয়ে যাওয়ার পর,সেই ইচ্ছে টা শেষ হয়ে গিয়েছিল!
থেমে যান নি তিনি, জানালেন আশার কথা, “আমাদের দেশে খুব কম পরিবার ই আছে যে বিয়ের পর ঘরের বউ বাইরে চাকুরী করবে এটা মেনে নেয়। তাই,চাকরী করার ইচ্ছাও ছিল না। বিয়ের পর অনাস ১বষে ভর্তি হই ইডেনে সাইকোলজি ডিপার্টমেন্টে। পড়ালেখার মাঝে অনেক সময় ছিল,আর ঘরের কাজেও শাশুড়ি সাহায্য করত অনেক,তাই অবসর সময়ে আমি প্রায় অনলাইনের এক এক সাইটে ঘুরে বেরাতাম আর এক এক কিছু লক্ষ করতাম, প্রায় ৩ বছর আগের কথা, তখন থেকেই অনলাইন শপিং আস্তে আস্তে জনপ্রিয় হয়ে উঠতে লাগল।আমি ভাবলাম যে, ঘরে বসে অনলাইন বিজনেস করলেতো ব্যাপারটা মন্দ হয়না,যেই ভাবা সেই কাজ!হুট করে একদিন পেইজ খুলে ফেললাম।
হিজাব নিয়ে কেনো আসলেন? জানতে চাওয়ার আগেই দিলেন উত্তর, “নিজে হিজাব পড়ার কারণে হবার কারনে,হিজাবের প্রতি আমার অন্য রকম একটা ভালোবাসা কাজ করত।তাই ভাবলাম,হিজাব নিয়ে কাজ করি,হাতের বানানো কিছু হিজাব পিন দিয়ে যাত্রা শুরু করেছিলাম। আজ আমার নিজের একটা অফিস হয়েছে,সেখানে,হিজাব এর ডিস্পলে হাউজ এর মত সাজিয়েছি,যেখানে সবাই এসে নিজের পছন্দ মত হিজাব কিনে নিতে পারে।”প্রতিদিন বর্তমানে বেশ ভালো মানে সাড়া পাচ্ছেন মিতাশা রহমান খান। অনলাইনে প্রতিদিন চল্লিশটির বেশী অর্ডার আর সরাসরি পণ্যের বিক্রয় সবমিলিয়ে স্বাবলম্বী আজকের মিতাশা রহমান খান।
হিজাবের পাশাপাশি এখন ইম্পোটেড দ্রেস,কস্মেটিক্স ও সেল করেন এবং সেখানেও মিলছে প্রত্যাশিত সাড়া।
পাঠকের মন্তব্য