বাগেরহাটে এক কলেজছাত্রীকে উত্ত্যক্তকারীর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করায় ওই ছাত্রীর ছোট বোন ও মাকে মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ওই দুজনকে বাগেরহাট সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় বাগেরহাট সদর উপজেলার গোটাপাড়া ইউনিয়নের কান্দাপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ এ ঘটনায় আজ মঙ্গলবার পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।
মারধরের শিকার নুরুনাহার বেগম অভিযোগ করে বলেন, ‘আমার বড় মেয়ে আসমা খাতুন বাগেরহাট সরকারি পিসি কলেজে পড়াশোনা করে। এ বছর সে এইচএসসি পরীক্ষা দেবে। বেশ কিছুদিন ধরে কলেজে যাওয়া-আসার পথে স্থানীয় রবিউল ইসলাম নামের এক যুবক আমার মেয়েকে উত্ত্যক্ত করে আসছিল। বারবার নিষেধ করা সত্ত্বেও সে একই কাজ করে যাচ্ছিল। সম্প্রতি আমরা থানায় গিয়ে ওই উত্ত্যক্তকারীর বিরুদ্ধে অভিযোগ করলে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। পরে সে আর আমার মেয়েকে উত্ত্যক্ত করবে না বলে প্রতিশ্রুতি দিলে আমি তার বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে নিই এবং এবং পুলিশ তাকে ছেড়ে দেয়।’
নুরুনাহারের ভাই মো. রুহুল আমিন বলেন, ‘সোমবার সন্ধ্যায় আমার বোন ও ছোট ভাগনি বাড়ির পাশে গভীর নলকূপ থেকে পানি আনতে গেলে আমাদের প্রতিবেশী রবিউলের কয়েকজন আত্মীয় ও সহযোগী তাদের পথ আগলে দাঁড়ায়। তারা রবিউলের আটকের ওই বিষয়ে বিভিন্ন কথা বলতে থাকে। এ সময় আমার ছোট ভাগনি মাকে নিয়ে বাড়ি যাওয়ার চেষ্টা করলে তারা মা-মেয়েকে এলোপাতাড়ি মারধর করে রক্তাক্ত জখম করে। পরে স্থানীয় ব্যক্তিদের সহযোগিতায় তাদের উদ্ধার করে বাগেরহাট সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।’
বাগেরহাট সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ও জেলা সিভিল সার্জন অরুণ কুমার মণ্ডল বলেন, আহত ওই দুই নারীর মুখ, বুক, পিঠসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তাঁদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
বাগেরহাট মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) এনায়েত হোসেন বলেন, পুলিশ ঘটনাটি জানার পর রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এ হামলার ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের ধরতে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে।
এ বিষয়ে রবিউল বা তাঁর পরিবারের কোনো সদস্যের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
পাঠকের মন্তব্য