লক্ষ্মীপুরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত কলেজ রোড। যেখানে অবস্থিত জেলার সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ লক্ষ্মীপুর সরকারি কলেজ, জেলা শিক্ষা অফিস, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস, প্রাইমারী শিক্ষক/প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, আদর্শ সামাদ ও কলেজিয়েট উচ্চ বিদ্যালয়সহ শহরের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এসকল প্রতিষ্ঠানে যাওয়ার অন্যতম মাধ্যম কলেজ রোড। যা ছিলো খানাখন্দে বেহাল দশা। সীমাহীন দুর্ভেগে পড়তে হতো পড়ুয়া, শিক্ষকসহ শিক্ষা অফিসের কর্মকর্তাদের। কলেজ রোডের পি.টি.আই মোড়ের বড় একটি গর্তে সামান্য বৃষ্টি হলেই অথৈ পানিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হতো। সিএনজি, রিকসা, অটোরিকসা, মটর সাইকেলসহ যানবাহনের অনেকাংশ ডুবে থাকতো পানিতে।
এ নিয়ে একুশ শতকে সম্প্রতি “লক্ষ্মীপুরে কলেজ রোডের বেহাল দশা, সীমাহীন দুর্ভোগে পড়ুয়ারা” শিরোনামে সর্ব প্রথম সংবাদটি তুলে ধরেন আমাদের জেলা প্রতিনিধি জুনাইদ আল হাবিব। পরবর্তীতে শহরের এই গুরুত্বপূর্ণ সড়কটির বেহাল দশার সংবাদ ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। এরপর সড়কের বিষয়টি কর্তৃপক্ষের নজরে আসে। খুব দ্রুত সময়ের মধ্যেই সংস্কার শেষ হয় সড়কের ওই অংশটির। ইতিমধ্যে যার সুফল ভোগ করছে শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অফিস কর্মকর্তা-কর্মচারী ও নগরবাসী।
লক্ষ্মীপুর সরকারি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির মাহমুদুল হাসান লাতু একুশ শতককে বলেন, “পি.টি.আই মোড়ে বড় গর্তে বৃষ্টি হলে এর পাশ দিয়ে যাওয়া গাড়ি থেকে ময়লা মিশ্রিত পানি আছড়ে পড়তো গায়ে। তখন খুবই বিরক্ত পোহাতে হতো আমাদের।” কলেজের ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম ভুঁইয়া(তপন) নিজ অনুভূতি প্রকাশ করে একুশ শতককে বলেন, ” একুশ শতকের জেলা প্রতিনিধি জুনাইদ আল হাবিবকে অনেক অনেক ধন্যবাদ ও অভিনন্দন। যার লেখালেখির সুবাধে সংস্কার হয়েছে হাজার হাজার শিক্ষার্থীদের চলাচলের পথটি। লেখালেখির কারণেই সড়কটি দ্রুত উন্নতি ঘটেছে।”
কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. মাইন উদ্দিন পাঠান একুশ শতকে বলেন, “কলেজ রোডটি আমাদের কলেজে আসার অন্যতম মাধ্যম। খানাখন্দে সড়কটির বেহালে শিক্ষার্থীরা দুর্ভোগে কলেজে আসতে হতো। কিন্তু সংবাদ প্রকাশের পর এটি কর্তৃপক্ষের দৃষ্টিগোচর হয়েছে, যা এখন দৃশ্যমান। কর্তৃপক্ষ আমাকে আশ্বস্ত করেছে কলেজ রোডটি খুব দ্রুতই পূর্ণ নির্মাণ করা হবে।”
পাঠকের মন্তব্য