বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রায় তিন মাস ধরে পড়ে আছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার দেওয়া একটি বাস। ছাত্রছাত্রীদের পরিবহনের জন্য দেওয়া এই বাসটি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষ্ণরোড সংলগ্ন বাস স্ট্যান্ডের পাশে পড়ে আছে অযত্নে-অবহেলায়। কিন্তু ঠিক করার কোনো নাম নেই কর্তৃপক্ষের।
অবস্থা এমন হয়েছে যে, বসটি আর কিছুদিন এভাবে পড়ে থাকলে পরিবহনের জন্য সম্পূর্ণ অনুপযুক্ত হয়ে যাবে।
উল্লেখ্য, ২০১২ সালে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দুটি বাস (BTRC) বিশ্ববিদ্যালয়কে উপহার দেন। কিন্তু বর্তমান উপাচার্য ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগদানের দেড় মাসের মাথায় পরিবহনটি বিকল হয়ে পড়ে। পরিবহনটি আগষ্ট মাসের দিকে পীরগঞ্জ রোডে বিকল হয়ে পড়লে সেখান থেকে কোনোভাবে নিয়ে এসে ফেলে রাখা হয়। পরিবহনটির ‘ইঞ্জিন বিকল’ হয়ে পড়ায় চালানো যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন ড্রাইভার জগদীস চন্দ্র বর্মণ।
একদিকে শিক্ষার্থীরা পরিবহনের অভাবে কষ্ট করে যাতায়াত করে আর কর্তৃপক্ষের এ ব্যাপারে কোনো ভ্রুক্ষেপই নেই।
পরিবহনটি মেরামত করা প্রসঙ্গে অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা উপাচার্যের ব্যক্তিগত সচিব (পিএস) মো: আমিনুর রহমানের সাথে কথা বললে তিনি জানান, এটি এখনো বিশ্ববিদ্যালয়ের নামে রেজিস্ট্রেশন করা হয়নি। ফলে ইঞ্জিন বিকল হওয়ায় নতুন ইঞ্জিন পরিবর্তন করা যাচ্ছে না। তাই এটার প্রক্রিয়া চলছে বলে তিনি জানান।
উল্লেখ্য, পরিবহনটি গ্যাস দিয়ে চালিত। এবং পরিবহনের জন্য গ্যাস আনতে বগুড়ায় যেতে হয়।
গাড়িটির রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন হলে ইঞ্জিন পরিবর্তন করা হবে। তিনি অারো জানান, গত অাগষ্ট মাসে রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। শীঘ্রই এটি শেষ হবে।
জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের নামে রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া শেষ হলে এটি গ্যাস থেকে ডিজেলের মাধ্যমে চালনা করা হবে।
এ দিকে পরিবহন সংকট ও প্রধানমন্ত্রীর উপহার দেওয়া বিআরটিসির বাসটি পড়ে থাকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে একাধিক শিক্ষার্থী। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সুমন্ত ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এমনিতেই পরিবহন সংকট। তার মধ্যে বাসটি পড়ে থাকায় এবং দ্রুত মেরামত না করায় প্রশাসনের উদাসীনতাই প্রমাণ করে। আরেক শিক্ষার্থী এম এন এস খান বলেন, ২০১২ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দুটি বিআরটিসি বাস উপহার দেন। কিন্তু
আজ কেনো বাসটি ফেলে রেখে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের অমর্যাদা করা হচ্ছে?
পাঠকের মন্তব্য