সাংবাদিকেরা আত্মমর্যাদা বিসর্জন দিতে পারে না: আরেফিন সিদ্দিক

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেছেন, একজন সাংবাদিক কখনও অন্যায়ের সঙ্গে আপস করতে পারে না। আত্মমর্যাদাবোধ বিসর্জন দিতে পারে না। কারণ সে সত্য প্রকাশের কাজে নিয়োজিত।

বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আর সি মজুমদার মিলনায়তনে বাংলাদেশ জার্নালিজম স্টুডেন্ট কাউন্সিলের (বিজেএসসি) অভিষেক এবং ‘সাংবাদিকতার শিক্ষা ও পেশা : বর্তমান ও ভবিষ্যৎ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

বিজেএসসির আয়োজনে আলোচনা সভার উদ্বোধন করেন জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি মুহম্মদ শফিকুর রহমান। সংগঠনের সভাপতি সনজিৎ সরকার উজ্জ্বলের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক ইমরান আহমেদের সঞ্চালনায় সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্ত, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মফিজুর রহমান, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক শাহ মো. নিসতার জাহান কবির, স্বাধীনতা সাংবাদিক পরিষদের আহ্বায়ক বরুন ভৌমিক নয়ন, বিজেএসসির জাহাঙ্গীর নগর সংসদের উপদেষ্টা সালমা আহমেদ প্রমুখ।

অধ্যাপক আরেফিন সিদ্দিক বলেন, সাংবাদিকতা ও সত্যনিষ্ঠতা একে অপরের পরিপূরক। সাংবাদিকের কাজই হচ্ছে সত্য প্রকাশ করা। সাংবাদিকতায় মিথ্যাচার বা অপসাংবাদিকতার সুযোগ নেই। সাংবাদিকতা পেশায় সত্যনিষ্ঠতা আনতে হলে একজন সাংবাদিককে ব্যক্তিগত, পারিবারিক ও সামাজিকভাবে সত্যনিষ্ঠ হতে হয়। আজকের বিশ্বের যোগাযোগ ব্যবস্থা একটি বড় সম্পদ। সে সম্পদকে কাজে লাগানোর জন্য যোগাযোগের দক্ষতা প্রয়োজন।

তিনি বলেন, সাংবাদিকতার সবচেয়ে বড় বিষয় বিশ্বাসযোগ্যতা। গণমাধ্যমের বিশ্বাসযোগ্যতা না থাকলে জনগণ সেটা গ্রহণ করবে না। ব্যক্তি হিসেবে সাংবাদিকের বিশ্বাসযোগ্যতা থাকা আবশ্যক। সেই জন্য সত্যনিষ্ঠতার প্রয়োজনীয়তা আছে।

সাংবাদিকতাকে ঝুঁকিপূর্ণ পেশা হিসেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সত্য প্রকাশ করতে গিয়ে অনেক সময় অনেকের শত্রুতে পরিণত হতে হয়। এমনকি অনেকে হত্যাকাণ্ডেরও শিকার হন। এটি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ পেশা। এ ঝুঁকি যতটা না চাকরি তার চেয়ে বেশি জীবনের। এটা জেনেই সাংবাদিকতা পেশায় আসতে হবে।

শফিকুর রহমান বলেন, সাংবাদিকতা মূল ভিত্তি হতে হবে বস্তুনিষ্ঠতা। এটা শুধু জ্ঞানভিত্তিক হলে হবে না এর মধ্যে দেশপ্রেম থাকতে হবে। সাংবাদিকতা পেশায় এলে এবিষয়গুলো মাথায় রেখে কাজ করতে হবে।

শ্যামল দত্ত বলেন, গত ২০ বছরে সাংবাদিকতা পেশা বদলে গেছে। আগামী দশ বছরে কোথায় যাবে তা ধারণা করা কঠিন। প্রতিনিয়ত নতুন নতুন চ্যালেঞ্জ সামনে আসবে। সেগুলো গ্রহণ করতে মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকতে হবে। সমাজকে বুঝতে হবে। কোন বাংলাদেশে ছিলাম আর কোথায় যাচ্ছি সেটা অনুধাবন করতে হবে।

সর্বশেষ আপডেট: ১৯ অক্টোবর ২০১৭, ২১:০৪
ডেস্ক রিপোর্ট

পাঠকের মন্তব্য

সর্বশেষ আপডেট


বিনোদন