অ্যারিস্টটলের অমর বানী, সাহস হচ্ছে মানুষের প্রথম গুন যা অন্য সব অসম্ভবকে সম্ভব করে তোলে। সাধারন মানুষ তাদের কেই অনুসরণ করে যাদের সাহস আছে। যাদের সাহস আছে তারাই ঝুঁকি নিতে পারেন। কঠিন মুহুর্তে সাহস নিয়ে দারুণ সব সিদ্ধান্ত আর চিন্তা যারা করতে পারেন তারাই সাফল্যের দিকে ছুটে যান। আমার এক স্যার বলতেন কোনো কাজ সাহস নিয়ে শুরু করা মানে সেই কাজের অর্ধেক শেষ হওয়া। আর যারা ভিতু তারা কোনো কাজ করার আগেই ভয় পেয়ে বসে, আর দিনশেষে ব্যর্থতা নিয়েই ঘরে ফেরে। কথায় আছে, ভিতুরা মরার আগেই মরে হাজার বার। আর সাহসীরা বেঁচে থাকে বারং বার।
১৯৫২ সালের ২১ সে ফেব্রুয়ারি আমাদের এই মাতৃভাষা আাদায়ের জন্য সাহস নিয়ে রাজপথে নেমেছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রসমাজ সহ বিভিন্ন পেশার মানুষ। তারা এই ভাষার জন্য নিজেদের জীবন দিতে ও ভয় পাইনি। তাদের এই সাহসীকতার জন্যই আজ আমরা পেয়েছি এই বাংলা ভাষা। আবার ১৯৭১ সালে এ দেশকে মুক্ত করার জন্য সাহসীকতার পরিচয় দিয়েছে এ দেশের বীর সন্তানরা। পশ্চিম পাকিস্তানীদের ছিলো অস্ত্র, গোলা কামান বারুদ। আর আমাদের ছিলো দেশের জন্য গভীর ভালোবাসা ও অফুরন্ত সাহসীকতা। যে সাহসীকতার জন্য আমরা মুক্ত করেছি আমাদের প্রিয় মাতৃভূমিকে, রচিত হয়েছে লাল সবুজের সোনার বাংলার।
আবার যদি ব্যাক্তি সাহসীকতার কথা বলি তাহলে বলবো মাশরাফি বিন মর্তুজার কথা। যে নিজের পায়ের কইয়েক টা অস্ত্রপাচার করা সত্ত্বেও সাহস নিয়ে লড়ে যাচ্ছে ক্রিকেট যুদ্ধে আর এ দেশকে এনে দিচ্ছে অভাবনীয় সব সাফল্য। সাহস নিয়ে লড়তে শিক্ষাচ্ছেন লাখ লাখ তরুনদের। বিল গেটস ও তার বন্ধু সাহস দেখিয়ে ১৯৭৫ সালে স্কুল ছেড়ে মাইক্রোসফট প্রতিষ্ঠা না করলে আজ পৃথিবী কি উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেম বা ইন্টারনেট এক্সপ্লোরারের দেখা পেত। তাই বলবো আপনি যদি সাহস নিয়ে কাজ শুরু করেন তবে দিন শেষে সফলতার মুকুট আপনার ঘরেই উঠবে।
পাঠকের মন্তব্য