রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শহীদ শামসুজ্জোহা হলের টিভি রুমের সামনে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। রোববার দিবাগত রাত ১ টা ৫০ মিনিটের দিকে এ ঘটনা ঘটে।
জোহা হল শাখা ছাত্রলীগ নেতাদের দাবি, ২০১২ সালের এই দিনে ক্যাম্পাস শিবিরমুক্ত করা হয়। তাই আজকের দিনে ক্যাম্পাসের পরিবেশ অস্থিতিশীল করতে ছাত্রশিবির ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে।
হলের আবাসিক শিক্ষার্থীরা জানান, রাত ১ টা ৫০ মিনিটের দিকে হলের টিভি রুমের সামনে থেকে বিকট শব্দ শোনা যায়। এতে আতঙ্কিত হয়ে পড়ে আবাসিক শিক্ষার্থীরা।
রাবি ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক আল মেহেদী হাসান বাপ্পী বলেন, জোহা হল আগে শিবিরের ঘাঁটি ছিল, এখন ছাত্রলীগে ভরপুর। শিবির মাঝে মাঝেই ক্যাম্পাসের স্বাভাবিক পরিবেশকে নষ্ট করতে ককটেল বিস্ফোরণ করে। এতে আমরা মোটেও আতঙ্কিত নই। তাদের সকল অপকর্ম রুখতে আমরা প্রস্তুত।
জানতে চাইলে রাবি শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ও জোহা হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক বরজাহান আলী বলেন, ‘স্বাধীনতা বিরোধী-মৌলবাদীরা ক্যাম্পাসকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করে আসছে। ওই মৌলবাদী শিবিররা ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে মামলা করেছে। তারা বিভিন্ন সময় ছাত্রলীগ নেতাদের ভয়-ভীতি দেখানোর চেষ্টা করে আসছে। যার অংশ হিসেবে তারা এই ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে থাকতে পারে। তবে এখন হলের পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে।’
জানতে চাইলে শহীদ শামসুজ্জোহা হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. গোলাম ছাদিক বলেন, ‘গভীর রাতে হলের বাহিরে শব্দ শোনা গেছে। তবে সেখানে গিয়ে কিছু খুঁজে পাওয়া যায়নি। হলের পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. লুৎফর রহমান বলেন, ‘ককটেল বিস্ফোরণের খবর এখনো শুনিনি। এ বিষয়ে খোঁজ নিয়ে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
পাঠকের মন্তব্য