মিয়ানমারে রোহিঙ্গা মুসলিমদের সাথে হিন্দুদের উপরও আক্রমণ হচ্ছে ।
সেখানে মিয়ানমারের দমন অভিযানের কারণে এবার দেশটি থেকে পালিয়ে চারশ জনের বেশি হিন্দু ধর্মাবলম্বীও সীমান্ত পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশে ঢুকেছে বলে জানা গেছে। তাদের মধ্যে মহিলা এবং শিশুর সংখ্যা বেশি। তাদের অনেকে বলেছেন, হিন্দুদেরও বাড়িঘর আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়ার পাশাপাশি অনেককে হত্যা করা হয়েছে।
কক্সবাজারের উখিয়া থেকে হিন্দু বৌদ্ধ খৃষ্টান ঐক্য পরিষদের স্থানীয় নেতা স্বপন শর্মা এই আশ্রয় নেয়াদের দেখতে গিয়েছিলেন।
তিনি জানিয়েছেন, উখিয়ার কুতুপালং শরণার্থী শিবির থেকে অল্প দূরত্বে একটি মন্দিরে এবং তার আশে পাশে আশ্রয় নিয়েছেন পালিয়ে আসা ৪১২জন হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা। তাদের মধ্যে কয়েকজন বৃদ্ধ ছাড়া বাকিরা নারী এবং শিশু।
কক্সবাজারের জেলাপ্রশাসনও তাদের আশ্রয় নেয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
এই আশ্রয় নেয়াদের একজন রমা কর্মকার জানিয়েছেন, রাখাইন রাজ্যের মংডু জেলার রিকটা নামের গ্রাম থেকে দুই শিশু সন্তান নিয়ে তিনি এসেছেন। তাদের গ্রামে তার স্বামীসহ অনেক পুরুষকে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী গুলি করে হত্যা করেছে। এই দৃশ্য তারা দেখেছেন। তাদের বাড়িঘরে আগুন দিয়ে নারী এবং শিশুদেরও নির্যাতন করেছে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। সেকারণে এই নারীসহ গ্রামের হিন্দু পরিবারগুলো সব পালিয়ে বাংলাদেশে এসেছেন।
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের মংডু জেলার রিকটা গ্রাম ছাড়াও চিয়ংছড়ি এবং ফকিরাবাজার গ্রামে ছিল হিন্দুদের বসবাস। এই তিনটি গ্রাম থেকে নির্যাতনের কারণে হিন্দুরা পালিয়ে সীমান্তে এসেছেন বলে জানাচ্ছেন স্বপন শর্মা।
তাদের মধ্যে ৪১২ জনের মতো বাংলাদেশে ঢুকতে পেরেছেন। মি: শর্মা আরও বলেছেন কয়েকশ সীমান্তে জিরোলাইনে রোহিঙ্গা মুসলিমদের সাথে অবস্থান করছেন।
পাঠকের মন্তব্য