মিয়ানমারের রাখাইনে ত্রাণ বহনকারী একটি নৌকার উপর হামলা চালিয়েছে স্থানীয় বৌদ্ধরা।
ত্রাণ বহনকারী এ নৌকাটি সংঘাত কবলিত রাখাইনে যাচ্ছিল। বৌদ্ধরা ভেবেছিল এ ত্রাণ সহায়তা রোহিঙ্গা মুসলমানদের জন্য পাঠানো হচ্ছে। তারা ত্রাণবাহী নৌকার দিকে পেট্রোল বোমা ছুঁড়ে মারে।
উত্তেজিত জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ ফাঁকা গুলি ছুঁড়েছে এবং কয়েকজনকে আটক করেছে। ত্রাণবাহী সে নৌকাটিতে প্লাস্টিক শিট, বালতি এবং মশারি ছিল।
প্রায় তিনশ’র মতো মানুষ সে নৌকাটি ঘিরে ফেলে এবং তাদের অনেকের হাতে ছিল আয়রন রড।
ত্রাণ সংস্থাগুলো বলছে প্রাণ বাঁচাতে যেসব রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে গেছে কিংবা যারা এখনো রাখাইনে আছে- তাদের সবার ত্রাণ সহায়তা দরকার।
কিন্তু মিয়ানমারের রাখাইন অঞ্চলে এখনো যেসব রোহিঙ্গা মুসলমান অবস্থান করছে তাদের জন্য ত্রাণ পাঠানো মোটেও সহজ কাজ নয়। রাখাইনে ত্রাণ সংস্থার কাজের উপর সরকারী নিষেধাজ্ঞা যেমন আছে তেমনি বৌদ্ধরাও চায় না যে রোহিঙ্গা মুসলমানদের জন্য ত্রাণ পাঠানো হোক।
রাখাইন অঞ্চলের সিটুয়েতে বুধবার রাতে যখন আন্তর্জাতিক কমিটি অব রেডক্রস বা আইসিআরসি’র ত্রাণ নৌকায় তোলা হচ্ছিল তখন কিছু মানুষ সেখানে জড়ো হয়।
সরকারে বলছে কয়েকশ বিশৃঙ্খল মানুষ বেশ আগ্রাসী হয়ে উঠে এবং নৌকায় ত্রাণ তুলতে বাধা দিচ্ছিল। এ সময় ২০০ পুলিশ এসে তাদের ছত্রভঙ্গ করে।
মিয়ানমার সরকারের একজন সচিব বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, ” মানুষজন ভেবেছিল এ সাহায্যগুলো শুধু বাঙালিদের জন্য পাঠানো হচ্ছে।”
আইসিআরসি’র একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, সেখানে একটি ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু এর বিস্তারিত কিছু তারা জানা যায়নি।
“আমাদের লোকজন তাদের সাথে আলোচনা করেছে। তাদের জানানো হয়েছে, আমরা সবাইকে সহায়তা করি এবং স্বচ্ছভাবে কাজ করি,” বলছিলেন আইসিআরসি’র সে কর্মকর্তা।
ত্রাণবাহী সে নৌকাটি এখনো সিটুয়েতে আছে।
পাঠকের মন্তব্য