নোয়াখালী জেলার সূবর্ণচর উপজেলার চর জব্বর থানার খাসের হাট পাটনী গ্রামের খ্রীষ্টান কলোনীর বাসিন্দা ক্ষিতীষ চন্দ্র দাসের পুত্র সুজন দাস (২৮)। সুজন পেশায় নরসুন্দর, যাকে আমরা নাপিত হিসেবে চিনি। বেশ কিছুদিন থেকে জ্বর এবং ফুসফুস জনিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে গত ১০ই সেপ্টেম্বর রবিবার নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মেডিসিন ওয়ার্ডে ভর্তি হন। হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে কিছু পরীক্ষা করার পরামর্শ দেন। নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে পরীক্ষা গুলোর প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম না থাকায় সেগুলো বাহিরের বেসরকারী ল্যাব থেকে করে আনার পরামর্শ দেওয়া হয় এবং তাকে প্রতিদিন দুইবেলা এন্টিবায়োটিক ইঞ্জেকশান দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়, যে ইঞ্জেকশান ও হাসপাতালের সংগ্রহে ছিলনা বলে জানান কর্তব্যরত চিকিৎসকরা। অর্থাভাবে পরীক্ষা গুলো করানো এবং ইঞ্জেকশান কিনার সামর্থ্য না থাকায় দিশেহারা হয়ে পড়ে নরসুন্দর সুজন দাসের পরিবার।
স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন মানুষের মুখে হাসি’র প্রধান উপদেষ্টা গোলাম কিবরিয়া রাহাত এ সংবাদ পেয়ে তৎক্ষনাৎ সংগঠনের অন্যান্য সদস্যদের সাথে আলোচনা করে সুজন দাসের পরিবারকে তার পূর্ণ চিকিৎসার দায়ীত্ব নেয়ার আশ্বাস দেন। অতপর টানা চারদিন আলাদা ভাবে সংগঠনের সদস্যরা বিভিন্ন স্থানীয় বিত্তবানদের সহযোগিতায় সুজন দাসের সব পরীক্ষা নিরীক্ষা এবং যাবতীয় ঔষধের ব্যবস্থা করে দেন এবং সার্বক্ষনিক পর্যবেক্ষন করেন। কর্তব্যরত চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে এবং মানুষের মুখে হাসি সংগঠনের সদস্যদের সহায়তায় সুস্থ হয়ে উঠেন নরসুন্দর সুজন দাস। আগামী দুইতিন দিনের মধ্যেই হাসপাতাল থেকে বাড়ী যেতে পারবেন সুজন দাস বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক।
এ ব্যাপারে সুজন দাসের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, আমি মানুষের মুখে হাসি সংগঠনের কাছে কৃতজ্ঞ, তারা স্বেচ্ছায় আমার এতবড় সহযোগিতা করবে তা কখনো ভাবিনি।
মানুষের মুখে হাসি’র পক্ষে সুজন দাসের সাথে সার্বক্ষনিক যোগাযোগ রাখা সংগঠনের সহ-সভাপতি মুহাম্মদ রায়হান রশীদ অভি বলেন, স্বেচ্ছায় সমাজের বিত্তবানরা যদি অসহায়দের পাশে এগিয়ে আসে একদিন এ সমাজের সবার মুখে হাসি ফুটবেই, তৈরী হবে একটি বাসযোগ্য পৃথিবী।
পাঠকের মন্তব্য