বাঘ রক্ষায় গণসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে ২০১০ সাল থেকে প্রতি বছর ২৯ জুলাই আন্তর্জাতিক বাঘ দিবস পালিত হয়ে আসছে। এ বছর বাঘ দিবসের প্রতিপাদ্য হচ্ছে “বাঘ আমাদের গর্ব, আমরাই বাঘ রক্ষা করব’’। জনসংখ্যা বৃদ্ধি, অপরিকল্পিতভাবে নগরায়ন, বনভূমি ধ্বংস এবং সর্বপরি জলবায়ু পরিবর্তনের কারনে বাঘের আবাসস্থল দিন দিন কমে যাচ্ছে। বাঘ আমাদের পরিবেশ এবং প্রাকৃতিক বাস্তুসংস্থানের ভারসাম্য রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। অথচ বাঘ রক্ষায় আমরা নির্বিকার। প্রকৃতিবান্ধব বিভিন্ন প্রাণীকে রক্ষার পরিবর্তে অপরিকল্পিতভাবে নগরায়ন এবং যান্ত্রিকবাহন বৃদ্ধি করে মানুষ ও অন্যান্য প্রানীর জন্য পৃথিবীকে বসবাসের অযোগ্য করে তুলছি।
এখনই সময় যান্ত্রিকবাহনকে নিয়ন্ত্রণ করা। অন্যথায় আমরা যেমন বন হারাবো, তেমনি এই পৃথিবী দিন দিন বসবাসের অযোগ্য হযে পড়বে। আজ সকাল ১১.০০ টায় চারুকলা ইনস্টিটিউট এর সামনে দি ইনস্টিটিউট অব ওয়েলবিয়িং এর উদ্যোগে আয়োজিত We Destroy Tigers’ Habitat; Cars Destroy Ours” শীর্ষক মানববন্ধনে বক্তারা এই অভিমত ব্যক্ত করেন।
মানববন্ধনে দি ইনস্টিটিউট অব ওয়েলবিয়িং এর আন্তর্জাতিক উপদেষ্টা দেবরা ইফরইমসন বলেন, বাঘ বাঁচলে বন বাঁচবে। আর বন বাঁচলে পরিবেশ বাঁচবে এবং পরিবেশ বাঁচলে আমরা বাঁচবো। কাজেই আমাদের বন রক্ষা করতে হবে।
দি ইনস্টিটিউট অব ওয়েলবিয়িং এর প্রোগ্রাম সমন্বয়নকারী ম্যান্ডি ইন্দ্রাণী মুখুটি বলেন, আমাদের দেশে বনের উপর অনেক মানুষ নির্ভরশীল। আর এই বন রক্ষায় বাঘ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। অথচ আমরা নগর উন্নয়নের কারণে বন ধ্বংস করে ফেলছি। প্রতি বছর সারাবশ্বিে বাঘরে আক্রমণরে শকিার হয় গড়ে সাের্বাচ্চ ৮৫ জন। অথচ অথচ, শুধু ঢাকা শহরইে সড়ক র্দুঘটনায় নহিত হয় গড়ে ৬৪ জন মানুষ। আগামী ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য বাসযোগ্য পৃথিবী গড়ে তুলতে হলে বন রক্ষার কোন বিকল্প নেই। সেই সাথে নগর পরিকল্পনায় যান্ত্রিকবাহন নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। এতে করে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষাকারী বাঘ যেমন বাঁচবে তেমনি নিরাপদ থাকবে মানুষ।
মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ ট্রাস্ট এর প্রোগ্রাম ম্যানেজার সৈয়দ অন্যন্যা রহমান, এনসিওর আওয়ার রাইটস্ এর সহকারি প্রকল্প কর্মকর্তা রিফাত পাশা, এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর ওমেন, ব্রাক এবং পিপলস্ ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের শিক্ষার্থীবৃন্দ। মানববন্ধন শেষে “ গাড়ির ব্যবহার কমাই, বাঘ বাঁচাই; নিরাপদ থাকুক মানুষ, নিরাপদ থাকুক পৃথিবী” এই বিষয়টি নাটিকার মাধ্যমে তুলে ধরা হয়। দিবসটি কেন্দ্রে করে দি ইনস্টিটিউট অব ওয়েলবিয়িং এর উদ্যোগে ব্রাক্ষণবাড়িয়ায় প্রেসক্লাবের সামনেও একটি মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়।
পাঠকের মন্তব্য