ফলদ বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে ‘আলোকিত পাঠাগার’ উদযাপন করলো বৃক্ষরোপন ও বৃক্ষ বিতরণ কর্মসূচি। লক্ষ্মীপুর জেলা বন বিভাগের সহায়তায় গত ১২ জুলাই ১৮ নং কুশাখালী ইউনিয়নের বিভিন্ন স্কুল ও মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের মাঝে ফলদ ও ঔষধি বৃক্ষসহ মোট ২০০টি গাছের চারা বিতরণ করেছে ‘আলোকিত পাঠাগার’। ‘আলোকিত পাঠাগার’- সামাজিক বনায়ন প্রকল্প-২০১৭ এর আওতায় এই কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। এই কর্মসূচিতে অংশ নেন ১৮ নং কুশাখালি ইউনিয়নের আলোকিত পাঠাগারের পাঠক, বিভিন্ন স্কুল ও মাদ্রাসার শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ফরাশগঞ্জ গ্রামের সাবেক প্যানেল চেয়ারম্যান ও বর্তমান ইউপি সদস্য মো. সফি উল্যা, আলোকিত পাঠাগারের সাধারণ সম্পাদকও আলোকিত স্কুলের প্রধান শিক্ষক মো. নোমান হোসেন (বিএবিএড), আলোকিত পাঠাগারের উপদেষ্ঠামণ্ডলী সদস্য ও ঝাউডগি দাখিল মাদ্রাসার সহকারি শিক্ষক মো. আবু তাহের, আলোকিত পাঠাগারের পাঠক, শুভাকাঙ্খিবৃন্দ প্রমুখ।
আলোকিত পাঠাগারের পক্ষ থেকে প্রায় ১০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে ১৫টি করে ফলদ ও ঔষধি গাছের চারা বিতরণ করা হয়েছে। স্বস্ব-প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চারাগুলো গ্রহণ করেন পাঠাগার কার্যালয় থেকে। এছাড়াও আলোকিত স্কুলের প্রতিটি শিক্ষার্থীর হাতে তুলে দেওয়া হয় একটি করে ফলদ গাছের চারা। এ সময় শিক্ষার্থীদের অনেকের মধ্যে আনন্দ দেখা যায়। অনেকে সেলফি তোলায় ব্যস্ত হয়ে পড়েন।
ইউপি সদস্য সফি উল্যা আগত শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, এটা আলোকিত পাঠাগারের একটি ভালো উদ্যোগ। যে কোন ভালো উদ্যোগের সাথে আমি আছি।
ঝাউডগি দাখিল মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক মো. আবু তাহের বলেন, এই প্রথম কুশাখালী ইউনিয়নে ‘আলোকিত পাঠাগার’ পাঠক, শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ফলদ বৃক্ষ বিতরণ করলো। এটা নি:সন্দেহে একটি প্রশংসনীয় উদ্যোগ। ফুলে ফলে ভরে উঠুক আমাদের গ্রাম।
আলোকিত পাঠাগারের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রেসিডেন্ট ইঞ্জিনিয়ার আরিফ চৌধুরী শুভ বলেন, আলোকিত পাঠাগার যা কিছু করবে আলোকিত পাঠাগারের পাঠক, শুভাকাঙ্খি ও এলাকাবাসীকে সাথে নিয়েই করবে। ফলদ বৃক্ষ রোপনের মাধ্যমে ফল ও পুষ্টির চাহিদা পূরণ হবে একদিন।গাছের চারা বিতরণের মাধ্যমে এটা উন্মোচিত হলো যে, আলোকিত পাঠাগার শুধু বৃক্ষ রোপন করে না, অন্যকে বৃক্ষরোপনে উদ্ধুদ্ব করার জন্যে শিক্ষার্থীদের মাঝে গাছের চারাও বিতরণ করেছে। আলোকিত পাঠাগারকে ফলদ গাছ দিয়ে সহযোগিতা করার জন্যে আলোকিত পাঠাগারের পক্ষ থেকে জেলা বনবিভাগের প্রতি তিঁনি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
পাঠকের মন্তব্য