উত্তরবঙ্গ ট্যুরিস্ট ক্লাবের সাংগঠনিক বৈঠকে ক্লাবের কর্ম পরিকল্পনা তুলে ধরেন সংগঠনের সভাপতি সাইফুল্লাহ রাব্বী। তিনি বলেন, ‘উত্তরবঙ্গের পর্যটন প্রচার ও প্রসার নিয়ে কাজ করা এবং ২০৩০ সালের মধ্যে উত্তরবঙ্গ পর্যটনের কিছু জায়গা ও আকর্ষণকে পযটকদের কাছে তুলে ধরাই হবে আমাদের মূল লক্ষ্য। এই চিন্তাধারা নিয়েই আমরা আগামী দিন গুলোতে এগিয়ে যাব।’ ১৪ জুলাই শুক্রবার বিকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলাভবন চত্বরে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
এছাড়া তিনি কমিটির বিষয়ে বলেন, ‘আমাদের কেন্দ্রীয় কার্যনিবাহী কমিটি ও বিভাগীয় প্রতিনিধিদের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। অতি শীঘ্রই জেলা ও উপজেলা প্রতিনিধিদের কমিটি ঘোষণা করা হবে।’
বৈঠকে উপস্থিত উত্তরবঙ্গ ট্যুরিস্ট ক্লাবের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সম্পাদক ও রাজশাহী বিভাগের প্রধান জান্নাতুল আকমাম ইমু বলেন, বাংলাদেশের জনপ্রিয় জায়গা গুলোর উপর থেকে বার্তি চাপ কমানোর জন্য উত্তরবঙ্গের দর্শনীয় স্থানগুলোকে প্রচার প্রসারের মাধ্যমে পর্যটনে বৈচিত্র আনা আমাদের পরিকল্পনার একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ হবে।
এদিকে উত্তরবঙ্গের এ্যাগ্রো ট্যুরিজমের প্রচার প্রসারে কাজ করার ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করেন বৈঠকে উপস্থিত উত্তরবঙ্গ ট্যুরিস্ট ক্লাবের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক জয় সরকার।
অন্যদিকে রংপুর বিভাগীয় প্রধান জাহিদ আবেদিন উত্তরবঙ্গের ঐতিহাসিক প্রত্নতাত্ত্বিক ও স্থানীয় খাবার গুলোকে প্রচার প্রসারের উপর বেশি গুরুত্ব দেন।
সাধারন সম্পাদক তামান্না রহমান উত্তরবঙ্গের ফুড ট্যুরিজমকে জনপ্রিয় করার ব্যাপারে কাজ করবেন বলে নিজের আগ্রহ প্রকাশ করেন।
প্রমোশন এ্যান্ড ডক্যুমেন্টারি সেক্রেটারি আনিকা নৌশিন বলেন, ‘পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ ছবি এবং ভিডিও এর মাধ্যমে পর্যটনের প্রচার প্রসারে কাজ করে। কাজেই আমরাও উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জায়গা গুলোকে আলোকচিত্রের মাধ্যমে তুলে ধরব। এছাড়া উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন পর্যটন স্থান গুলো নিয়ে ডক্যুমেন্টারি তৈরি করে প্রচার করব।’
বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন, উত্তরবঙ্গ ট্যুরিস্ট ক্লাবের কমিউনিকেশন সেক্রেটারি মোঃ নাসিমুল হাসান শোভন, উত্তরবঙ্গ ট্যুরিস্ট ক্লাবের সাংবাদিক প্রধান ও অল অ্যাবাউট ঢাকা অনলাইন পত্রিকার ডেপুটি এডিটর আয়াজ উর রাহমান, ই-বার্তা অনলাইন পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার সাজিদ সুমন সহ উত্তরবঙ্গ ট্যুরিস্ট ক্লাবের অন্যান্য সদস্যবৃন্দ।
পাঠকের মন্তব্য