অক্টোবর বিপ্লব শতবর্ষ উদযাপন জাতীয় কমিটির বর্ধিত সভা আজ ৭ জুলাই বিকাল সাড়ে ৪টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি ক্যাফেটেরিয়ায় অনুষ্ঠিত হয়। আহমদ রফিকের সভাপতিত্বে ও সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভার প্রথমেই খসড়া ঘোষণা উত্থাপন করেন, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অভিনু কিবরিয়া ইসলাম।
খসড়া ঘোষণায় বলা হয়, বহুকাল ধরে মানুষ যে সমাজের স্বপ্ন দেখে এসেছে, অক্টোবর বিপ্লব সেই স্বপ্নকেই বাস্তবায়িত করেছে, এবং বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে মানুষকে দিয়েছে আশা ও অগ্রযাত্রার পথের দিশা। শতাব্দী পার হয়ে যাচ্ছে কিন্তু ওই বিপ্লবের ঐতিহাসিক তাৎপর্য একবিন্দুও মলিন হয় নি, বরং বর্তমান বিশ্বের গাঢ় অন্ধকারের পটভূমিতে তা আরও উজ্জল হয়ে উঠেছে। রাশিয়ার শ্রমিক-কৃষক মেহনতী মানুষ লেনিন ও বলশেভিক পার্টির নেতৃত্বে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করেছিল। ‘রুটি-জমি-শান্তি’ স্লোগানকে সামনে রেখে শ্রমিক-কৃষক-জনতার লালবাহিনী রাশিয়ার তৎকালীন সামরিক সরকারকে উৎখাত করে এক নতুন ধরনের সভ্যতা ও সংস্কৃতির সূচনা করেছিল। প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল সোভিয়েত ইউনিয়ন, সমস্ত ক্ষমতা ধনিক শ্রেণীর পার্লামেন্টের কাছ থেকে চলে গিয়েছিল তৃণমূল থেকে নির্বাচিত মেহনতী ও শোষিত-নিপীড়িত মানুষের প্রতিনিধিদের ‘সোভিয়েত’-এর কাছে। পুঁজিবাদী পথের বিপরীতে সমাজতান্ত্রিক পথে অগ্রসর হওয়ার লক্ষ্যে মেহনতী মানুষের অভূতপূর্ব জাগরণ বিশ্ববাসী অবাক বিস্ময়ে প্রত্যক্ষ করেছিল। দেখেছিল সৃষ্টিশীল শক্তির অভূতপূর্ব প্রকাশ।
সভায় আলোচনা করেন, সিপিবি সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, রাজনীতিক সাইফুল হক, বজলুর রশিদ ফিরোজ, জোনায়েদ সাকী, লেখক নুরুল কবির, লেখক আজকর হোসেনসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও ছাত্র-যুব-নারী-সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
সভায় আগামী ১২ জুলাই সকাল ১১টায় পুরানা পল্টনস্থ মুক্তি ভবনে সংবাদ সম্মেলনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
পাঠকের মন্তব্য