পাহাড় ধস : নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৩৩

পাহাড় ধসে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৩৩।Focusbangla
পাহাড় ধসে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৩৩।

চট্টগ্রাম, রাঙামাটি ও বান্দরবান জেলায় সোমবার দিবাগত রাত থেকে বুধবার সকাল পর্যন্ত প্রবল বর্ষণ ও পাহাড় ধসে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৩৩ জনে দাঁড়িয়েছে। এর মধ্যে চারজন সেনা সদস্য রয়েছেন। নিহতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে।

চট্টগ্রাম : জেলার চন্দনাইশ ও রাঙ্গুনিয়ায় পাহাড় ধসে ২৯ জন নিহত হয়েছেন। এরমধ্যে চন্দনাইশ উপজেলার ধোপাছড়ি এলাকায় পাহাড় ধসে শিশুসহ চারজন নিহত হয়েছেন।

ধোপাছড়ি ইউনিয়ন পরিষদের প্রাক্তন চেয়ারম্যান আবু ইউসুফ চৌধুরী জানান, পাহাড়ের পাদদেশে বসবাসকারী আসগর আলীর কাঁচা ঘরের ওপর মাটি ধসে পড়ে। এ ঘটনায় আজগর আলীর শিশুকন্যা মাহিয়া মাটির নিচে চাপা পড়ে মারা যায়। এ ছাড়া একই এলাকার ছনবুনিয়া উপজাতি পাড়ায় একটি ঘরের ওপর পাহাড় ধসে একই পরিবারের দুই শিশু কেউচা, মেমাউ ও গৃহবধূ মোকাইং কেয়াং নিহত হন।

চন্দনাইশ থানার ওসি (তদন্ত) মো. শাখায়াত হোসেন বলেন, ধোপাছড়ি এলাকাতে পাহাড় ধসে চারজনের মৃত্যুর খবর শুনেছি।

রাঙ্গুনিয়া উপজেলায় পাহাড় ধসে কমপক্ষে ২১ জনের মৃত্যু ঘটেছে। রাঙ্গুনিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান মো. আলী শাহ উপজেলার বিভিন্নস্থানে ধস ও বন্যায় নিহতের এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

রাঙামাটি : জেলা শহর ও বিভিন্ন উপজেলায় প্রবল বর্ষণের ফলে পাহাড় ধসে চারজন সেনা সদস্যসহ কমপক্ষে ৯৮ জন নিহত হয়েছে।

রাঙামাটির জেলা প্রশাসক মানজারুল মান্নান বুধবার সকালে জানান, জেলার বিভিন্নস্থানে ধসে এখনো পর্যন্ত ৯৮ জনের মৃত্যু নিশ্চিত করা গেছে। এর মধ্যে চারজন সেনা সদস্য রয়েছেন। জেলা সদরে ৫৩ জন, কাউখালীতে ২৩ জন, কাপ্তাইয়ে ১৮ জন এবং বিলাইছড়ি ২ জন ও জুরাছড়িতে ২ জন করে পাহাড়ধসে মারা গেছেন। জেলার বিভিন্ন উপজেলায় পাঁচ শতাধিক বাড়িঘর নষ্ট হয়েছে।

বান্দরবান : বান্দরবান শহরের বালাঘাটা, লেমুঝিড়িপাড়া ও আগাপাড়া এলাকায় পাহাড় ধসে ছয়জন নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন পাঁচজন।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রাত আড়াইটার দিকে বান্দরবান জেলা শহরের বালাঘাটা পুলিশ ক্যাম্প এলাকায় পাহাড় ধসে পড়ে। ঘটনার সময় হতাহতরা ঘুমন্ত অবস্থায় ছিলেন। হঠাৎ পাহাড় ধসে ঘরের ওপর পড়লে চাপা পড়ে রেবা ত্রিপুরা মারা যান।

রাতে শহরের লেমুঝিড়িপাড়া ও আগাপাড়ায় অনুরূপভাবে পাহাড় ধসে পাঁচজন নিহত ও চারজন আহত হন। পরে স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে বান্দরবান সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন।

এ ব্যাপারে বান্দরবান ফায়ার সার্ভিসের সাব অফিসার স্বপন কুমার বোস বলেন, ঘটনার পর তারা মাটির নিচ থেকে হতাহতদের উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নিয়ে আসেন।

সর্বশেষ আপডেট: ১৪ জুন ২০১৭, ১০:৩৮
ডেস্ক রিপোর্ট

পাঠকের মন্তব্য

সর্বশেষ আপডেট


বিনোদন