বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্মচাপের প্রভাবে আজ সোমবার, ১২জুন মেঘনায় সৃষ্ট জোয়ারের উত্তাল ঢেউয়ে লক্ষ্মীপুরের উপকূলের দু’টি উপজেলা কমলনগর-রামগতিতে পানি প্রবেশ করে। এতে দু’টি উপজেলার প্রায় শতাধিক গ্রামের মানুষ জলাবদ্ধতায় আটক! কমলনগরের চর মার্টিন, চর কালকিনি, চর ফলকন, চর জগবন্ধু, চর লরেন্স, সাহেবেরহাট এবং রামগতির পৌরসভা, চর আলেকজান্ডার, দ্বীপ চর আবদুল্লাহ ও চর গজারিয়া, চর নেয়ামত, বড়খেরী ইউনিয়নের অসংখ্য গ্রাম পানিতে ডুবে থাকার খবর পাওয়া যায়।
এদিকে জলোচ্ছাসের সৃষ্ট জলাবদ্ধতায় কৃষকের স্বপ্নের ফসল পানির নিচে ডুবে থাকতে দেখা যায়। তা নিয়ে দুঃচিন্তায় কৃষকরা। তাদেরই একজন কমলনগরের চর কালকিনির মোঃ আবু মুছা (৫৬)। তিনি বলছিলেন, রবি শস্যের সময়ও আমরা ক্ষতির মুখে পড়েছি. এখনো পানি আমাদের ভাগ্য কেড়ে নিচ্ছে। তিনি আরও বলেন, মজবুত ও উঁচু বেড়িবাঁধের অভাবে জোয়ারের পানি খুব সহজেই প্রবেশ করে। কয়েকটি বেড়িবাঁধ নির্মাণ করা হলেও এগুলোর কোন সঠিক তদারকি করা হয়নি।
রামগতির সেবাগ্রামের নাসিমুল হক নাসিম জানায়, খাল দিয়ে পানি গ্রামে প্রবেশ করেছে। যা রাস্তা-ঘাটের উপর দিয়েও গড়াচ্ছে। এতে মেঠো পথগুলোর দিন দিন ভেঙ্গে যাওয়ার ঝুঁকিপূর্ণতা বাড়ছে। অন্যদিকে, জোয়ারের পানি পুকুরে প্রবেশ করে মৎস্য চাষীদের বিভিন্ন প্রজাতির মাছ উধাও হয়েছে। কিন্তু ক্ষতিগ্রস্ত এই মৎস্যজীবীদের পাশে এসে কেউ না দাঁড়ানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে। এদের মধ্যে মেঘনাতীরের মাকছুদুর রহমান কিরণ বলেন, গত বছর রোয়ানুর প্রভাবে সৃষ্ট জোয়ারে প্রায় ৬০ হাজার টাকার মাছ হারিয়েছি। সরকারি কিংবা বেসরকারিভাবে আমার জন্য কোন সহায়তা মিলেনি।
কমলনগর মেঘনাতীরের চর কালকিনির ইউপি সদস্য মেহেদী হাসান লিটন অবশ্য একুশ শতককে বলছিলেন, গত কিছু দিনের চেয়ে আজকের জোয়ার বেশি। যার উচ্চতা স্বাভাবিক চেয়ে প্রায় ৪ ফুট হবে। তিনি আরো বলেন, বেড়িবাঁধহীন এলাকাগুলোতে মেঘনার জোয়ারের পানি খুব দ্রুতই ঢুকে পড়ে আর বেড়িবাঁধযুক্ত এলাকাগুলো খালের মাধ্যমে পানি প্রবেশ করে বিলে ঢুকেছে।
পাঠকের মন্তব্য