আইনি জটিলতায় জড়ালেন বলিউড সেনসেশন সানি লিওন। সঙ্গে তার স্বামী ড্যানিয়েল ওয়েবারের নাম রয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে থানায় প্রতারণা, আর্থিক ক্ষতি ও সম্মানহানির অভিযোগ করেছেন নির্মাতা দিনেশ তিওয়ারি।
কয়েক বছর আগে বলিউড সিনেমায় অভিনয়ের ইচ্ছা করেন ড্যানিয়েল। তার কয়েকদিনের মধ্যে ড্যাঞ্জারাস হুসন নামের একটি সিনেমায় অভিনয়ের ঘোষণাও দেন এবং এ জন্য ফটোশুট করেন। তারপর সিনেমাটি নিয়ে আর কোনো খবর শোনা যায়নি। হঠাৎ শোনা যাচ্ছে, এ সিনেমার জন্যই সানি ও ড্যানিয়েলকে কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে চলেছেন সিনেমাটির নির্মাতা।
এ প্রসঙ্গে নির্মাতা দিনেশ তিওয়ারি সংবাদমাধ্যমে জানান, প্রথমে সিনেমাটিতে অভিনয়ের প্রস্তাব নিয়ে সানির কাছে যান তারা। এর পরিবর্তে সিনেমার নায়কের চরিত্রে ড্যানিয়েলকে নেয়ার পরামর্শ দেন সানি এবং নির্মাতারাও এতে রাজি হন। এছাড়া সিনেমায় আইটেম গানের জন্য রাজি হয়েছিলেন সানি। সম্মানি হিসেবে ড্যানিয়েলকে ১৫ লাখ রুপিও দিয়েছিলেন নির্মাতারা। কিন্তু মাত্র ১৫ দিন শুটিং করার পর যখন দ্বিতীয় শিডিউল ও আইটেম গানের শুটের জন্য সানির কাছে সময় চাওয়া হয় তখন এ অভিনেত্রী তাদের এড়িয়ে চলেন। যখন নির্মাতা ড্যানিয়েলের কাছে যান, তখন তিনি জানান, সানি চাইছেন না সিনেমাটির মাধ্যমে তার অভিষেক হোক।
এরপর ক্ষিপ্ত হয়ে মুম্বাইয়ের ভারসোভা থানায় সানি লিওন ও তার স্বামী ড্যানিয়েল ওয়েবারের বিরুদ্ধে প্রতারণা, আর্থিক ক্ষতি ও সম্মানহানির অভিযোগ দায়ের করেন দিনেশ তিওয়ারি।
তবে এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ড্যানিয়েল ওয়েবার। তিনি সংবাদমাধ্যমে জানান, সিনেমায় আইটেম গানের জন্য সানি রাজি হননি। নির্মাতারা সানিকে এ বিষয়ে প্রস্তাব দিয়েছিলেন, তবে তিনি রাজি হননি। কিন্তু নির্মাতারা তারপরেও তার কাছে শুটিংয়ের তারিখ চেয়ে আসছিলেন।
সিনেমার শুটিং প্রসঙ্গে ড্যানিয়েল জানান, সিনেমার কলাকুশলীদের ঠিকমতো পারিশ্রমিক দেয়া হচ্ছিল না এবং কয়েকজন সদস্য সিনেমাটি থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়। ১০ দিন শুটিংয়ের পর স্থানীয় একটি সংগঠন সিনেমাটির সেটে ভাঙচুর করে এবং সিনেমাটি বন্ধ হয়ে যায়। তিনি সিনেমায় চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন এবং দিনেশ তিওয়ারিকে শুটিংয়ের শিডিউলও দিয়েছেন বলেও জানান ড্যানিয়েল।
পাঠকের মন্তব্য