লালমনিরহাট জেলার পাটগ্রাম উপজেলায় বিনা নোটিশে এক অসহায় পরিবারের ঘর-বাড়ী ভেঙ্গে দিয়ে সীমানা প্রাচীর তৈরি করার অভিযোগ উঠেছে ভূমি অফিসের সহকারী তহশিলদার সাজু মিয়ার বিরুদ্ধে । সাজু মিয়া উপজেলার বাউরা ইউনিয়নের সহকারী তহশিলদার।
গত মঙ্গলবার(৩০মে) দুপুরে পাটগ্রাম উপজেলার বাউরা এলাকার আজিজার রহমানের বাড়ি ভেঙ্গে দেওয়া হয়। বাড়ি ভেঙ্গে দেওয়ার কারণে খোলা আকাশের নিচে মনবেতর জীবন যাপন করছে অসহায় পরিবারটি।
নবীনগর গ্রামের মৃত আব্দুল গফুরের ছেলে সাবেক ইউপি সদস্য রহিদুল ইসলাম জানান, আমার দাদা মৃত টটে মাহামুদ ১৯৭৩ সালে তফশীল ভুক্ত এসএ ১ নং খতিয়ানের অন্তর্ভুক্ত ৬৯২৬ নং দাগে ২ একর ৫০ শতাংশ জমির মধ্যে ১ একর জমি সরকারের কাছে বন্দোবস্ত (লিস) গ্রহন করেন। ১৯৮৮-৯৯ সালের তৎকালীন এডিসি জেনারেল এই ১ একর জমি বন্দোবস্ত বাতিল করেন। ২০০০ সালে আমার বাবা আব্দুল গফুর বন্দোবস্ত বাতিলের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করেন। মামলায় আমরা রায় পাই। সে অনুযায়ী জেলা সাব জজ-২য় আদালত আব্দুল গফুরকে পুনরায় ১ একর জমি ভোগ দখলের নির্দেশ প্রদান করেন। এই জমির উপর ২০০১-০২ সালে লালমনিরহাট রাজস্ব বিভাগে আপিল করলে আদালত আবারও আমাদেরকে জমি ভোগ করার রায় দেন। আমরা সেই জমি আমার চাচাতো ভাই ভুমিহীন আজিজার রহমাকে বসবাস করার জন্য দিয়ে দিয়ে। দীর্ঘ দিন ধরে অজিজার রহমান সেই জমিতে পরিবার নিয়ে বসবাস করেছে আসছে। হঠাৎ করে আমাদের না জানিয়ে বিনা নোটিশে ওই জমির উপরে থাকা বসত বাড়ি ভেঙ্গে দিয়েছে সহকারী তহশিলদার সাজু মিয়া।
এ বিষয়ে বাউড়া ইউনিয়ন ভুমি অফিসের সহকারী তহশিলদার সাজু মিয়া সাংবাদিকদের জানান, আমরা তার বাড়ি ভেঙ্গে দেই নাই। আপনারা এ বিষয়ে ইউএনও স্যারের সাথে কথা বলেন।
এ বিষয়ে পাটগ্রাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা(ইউএনও) নুর কুতুবুল আলম জানান, আমরা তার বাড়ি ভেঙ্গে দেই নাই। তারা নিজেরাই তাদের ঘর ভেঙ্গে ফেলেছে। আমি তহশিলদারকে ওই জমির মামলার বিষয়ে আদালতে যেতে বলেছি এবং আমার কাছে রিপোর্ট করতে বলেছি। জমির ওই অংশে আপাতত কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
পাঠকের মন্তব্য